• রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন

শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ভাবনা

Reporter Name / ৩১৩ Time View
Update : বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের শিক্ষকদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়া হবে।

পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীদেরও অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়া হবে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সেরা ফলাফলধারী ৩০ শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড (স্বর্ণপদক) প্রদান অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মীজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এমএ মান্নান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বডির শীর্ষস্থানীয় সদস্য, শিক্ষক-কর্মকর্তারা জুম অ্যাপসে যুক্ত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার কথাও ভাবছে সরকার।

‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড (স্বর্ণপদক) প্রবর্তন করেছে। আমাদের সবাইকে এই অনুষ্ঠান অনুপ্রাণিত করেছে। এখন থেকে প্রতিবছরই এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া অব্যাহত থাকবে। ’

তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে যে বই দু’টি নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে সে বই দু’টি শুধু আত্মজীবনীমূলক বই নয়, একজন ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হলে বইগুলো পড়ার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই আকর গ্রন্থ। এই বইগুলো আমাদের সবার পাঠ্য হওয়া উচিত।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘একটি কর্মদক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য আমরা শিক্ষাটা এগিয়ে নিচ্ছি। আজকের অনুষ্ঠানে মেধাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বৈশ্বিক বাস্তবতায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের কায়িক শ্রমনির্ভর পেশায় যুক্ত হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখছে এবং সাফল্য দেখাচ্ছে। এটি অনেকে আমরা জানি না। না জানার কারণে অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে রয়েছেন ২৬ জন আর স্নাতক (পাস) কোর্সে ৪ জন। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ৩০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জনই ছাত্রী। আর মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থদ্বয় থেকে যা শিক্ষণীয়’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৪ জনকে নগদ অর্থ ও সনদ দেওয়া হয়েছে।

ভাইস-চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত (স্বর্ণপদক) স্নাতক (সম্মান) কোর্সের ২৬ শিক্ষার্থী হলেন- সাজেদুর রহমান (রাজশাহী কলেজ), জুঁই সেন (চট্টগ্রাম কলেজ), আবু তাকী (সরকারি আজিজুল হক কলেজ), শাহানাজ আক্তার (সরকারি তোলারাম কলেজ), মোছা. মাহফুজা খাতুন (সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ), তনয়া খানম (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ), তন্ময় বৈদ্য (বরিশাল ব্রজমোহন সরকারি কলেজ), নাওসাবা বুলিয়া (লালমাটিয়া মহিলা কলেজ), প্রিসিলা পারভীন প্রভা (ঢাকা সিটি কলেজ), মোাসা. হাবিবা খাতুন হাসি (রাজশাহী কলেজ), সাদিয়া রহমান (সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ), উজ্জ্বল হোসেন (সরকারি আজিজুল হক কলেজ), তহমিনা আফরোজ বন্ধন (তেজগাঁও কলেজ), মৌসুমী খাতুন (রাজশাহী কলেজ), মাহামুদা আক্তার (সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ), হাসনাত জাহান ইভা (মাদারীপুর সরকারি কলেজ), সম্পা রানী (দিনাজপুর সরকারি কলেজ), মোছা. কুইনআরা (মাগুরা নাজির আহমেদ কলেজ), শোয়েব আহমেদ (বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ), মোসা. মৌসুমী আক্তার (লালমাটিয়া মহিলা কলেজ), তানিয়া নাসরিন (নওগাঁর চৌধুরী চাঁদ মোহাম্মদ মহিলা কলেজ), পূজা দত্ত (গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ), লিমা সিদ্দিক (কুমুদিনী সরকারি কলেজ), তাসনিম আক্তার (সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ), নাছরিন আক্তার (নোয়াখালী সরকারি কলেজ)।

আর স্নাতক (পাস) কোর্সের ৪ জন হলেন- জবাশ্রী তালুকদার (চট্টগ্রাম হাটহাজারী কলেজ), মোছা. রক্সিমা খাতুন (রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ), সীমা আক্তার (কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর আদর্শ মহিলা কলেজ), নাবিলা (শরীয়তপুরের এম. এ রেজা কলেজ)।

মুজিববর্ষের রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন আফরাসীম আহমেদ (নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ), দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন মোছা. সাদিয়া আফরিন (রাজশাহী কলেজ), যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছেন শিলা আক্তার (সরকারি কুমুদিনী কলেজ) এবং এস এম দেলোয়ার হোসেন (চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ)।

আরবিসি/১০ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category