নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলা ভূমি অফিসের উদ্যোগে ভূমিসেবায় স্মার্ট নাগরিক তৈরি করার প্রয়াসে তৃতীয় ব্যাচে প্রশিক্ষণ গ্ৰহণ করেছেন- ইউসেপ বাংলাদেশ রাজশাহী রিজিওনের ২৫ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে পবা উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে অবস্থিত এই ‘ভূমির পাঠশালা’য় প্রথমবারের মত ইউসেপ’র শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন পবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার।
ইতোমধ্যে, স্মার্ট ভূমি সেবার নতুন চমক নিয়ে ‘ভূমির পাঠশালা’র উদ্বোধনী ক্লাসে পবা উপজেলার গোবিন্দপুর মৌজার ২৫ জন শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় ক্লাসে নওহাটা মৌজার ২৫ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ গ্ৰহণ করেছেন।
প্রশিক্ষণের শুরুতেই ‘ভূমির পাঠশালা’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার। তিনি জানান,’ভূমির পাঠশালা’ স্মার্ট ভূমি সেবার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। এর মূল্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে নাগরিকদের ভূমি সংক্রান্ত সামগ্রিক জ্ঞান প্রদান করা। আর এর মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
তিনি আরো বলেন, ভূমি নিয়ে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টির শুরু থেকেই। আর বাংলাদেশে অধিকাংশ পরিবারেই ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। অথচ এই ভূমি নিয়েই মানুষের জ্ঞানচর্চা সবচেয়ে কম। তাই ‘ভূমির পাঠশালা’ ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রশিক্ষণ শেষে ইউসেপ রাজশাহী রিজিওনের সিটি কর্পোরেশন টেকনিক্যাল স্কুলের হেড অফ টেকনিক্যাল আনোয়ার হোসেন শিকদার বলেন, পবা উপজেলা ভূমি অফিস আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চারটি টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষক সহ ইউসেপ রিজিওনের মোট ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছি। আমরা পবা উপজেলার সুযোগ্য এসিল্যান্ড অভিজিত সরকারের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক জ্ঞান অর্জন করেছি। এর ফলে নিজেরাই ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা খুব সহজেই নিরসন করতে পারবো। পাশাপাশি এই অর্জিত জ্ঞান এলাকাবাসী ও আত্নীয়-স্বজনদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি।
ইউসেপ বাংলাদেশ রাজশাহীর রিজিওনাল ম্যানেজার শাহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ভূমি সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জনের জন্য আবেদন করেছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউসেপ রাজশাহী রিজিওনের ২৫ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ভূমি বিষয়ক মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছি। এই প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ছোটখাটো ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই কার্যক্রম চলমান থাকলে ভূমি সংক্রান্ত মামলার পরিমাণ দিন দিন কমে আসবে বলে জানান তিনি।