• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শীর্ষ সংবাদ
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে উত্তাল রাবি ক্যাম্পাস, রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ রাজশাহী জেলা আ’লীগের সভাপতিকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বাগমারা উপজেলার আ’লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে দুর্বৃত্তদের হামলা ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের নতুন আহবায়ক আব্দুল্লাহ ইকবাল, শাহাদাৎ হোসেন মুন্নার অভিনন্দন প্যারাগুয়ের জালে ৪ গোলে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল ব্রাজিল, জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিউস আজ রাজধানীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমাবেশ খুনোখুনি বেড়েছে আওয়ামী লীগে রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজের অভিযোগে মালিকসহ আটক ১৭ রাজশাহী-৬ আসনের এমপি’র কুশপুত্তলিকা জ্বালিয়ে শাহরিয়ার আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল আ’লীগ রাজশাহীর পবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পপির রকেটের গতিতে বয়স বৃদ্ধির তদন্ত করল কমিটি রাজশাহীর বাঘায় নিহত নেতা বাবুলের জানাজা থেকে বের করে দেওয়া হলো জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনীল কুমার সরকারকে

নির্ধারিত মূল্য মানছেন না ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীরা

Reporter Name / ২০১ Time View
Update : শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : ভোজ্যতেলের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার এটির দর নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। বরং নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে তেল বিক্রি করা হচ্ছে খুচরা বাজারে।

দামবৃদ্ধির কারণ হিসেবে তারা পাইকার ও আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করছেন। তবে এ মূল্য আরো এক দফা বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। দফায় দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে কপালে ভাঁজ পড়েছে সাধারণ মানুষের।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) খুলনার বড়বাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে জানা গেছে, পুষ্টি (৫ লিটারের বোতল) ৬০০ টাকা, ফ্রেস (৫ লিতারের বোতল) ৬৩০ টাকা, তীর (৫ লিটারের বেতল) ৬৩০ টাকা, রুপচাদা (৫ লিটারের বোতল) ৬৩৫ টাকা, বসুন্ধরা (৫ লিটারের বোতল) ৬০০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১২৪ টাকা পঞ্চাশ পয়সায় বিক্রি করা হচ্ছে।

অপরদিকে খুচরা বাজারে তীর (৫ লিটারের বোতল) ৬৪০ টাকা, ফ্রেস (৫ লিটারের বোতল) ৬৪০ টাকা, রুপচাদা (৫ লিটারের বোতল) ৬৫০ টাকা, বসুন্ধরা (৫ লিটারের বোতল) ৬৪০ টাকা এবং খোলা তেল প্রতি কেজি ১৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

নগরীর বাবুখান রোড়ের রহমত স্টোরের দোকানি জানান, তারা এ দরে তেল বিক্রি করবেন। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, পাইকারি দোকানে তেলের দাম বেশি। তাছাড়া সরকার কেবলমাত্র ঘোষণা দিয়েছেন। এটি বাস্তবায়ন হতে ১৫ দিন সময় লাগবে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা এসে তেলের দাম আরো বাড়বে বলে আভাস দিয়েছেন।

রূপসা বাজারের শহিদুল স্টোরের দোকানি জানান, সরকার তেলের দাম কমানোর যে ঘোষণা দিয়েছে তা তিনি জানেন না। তিনি বেশি দরে তেল কিনেছেন তাই আগের দরেই তেল বিক্রি করছেন।

বড়বাজারের খোলা তেল ব্যবসায়ী মাহিন ট্রেডার্সের ম্যানেজ্যার হাসান জানান, সরকার হঠাৎ এরকম ঘোষণা দিলে হবে না। কারণ প্রত্যেক ব্যবসায়ীর ঘরে বর্তমানে ২০-২৫ লাখ টাকার তেল মজুদ আছে।

তিনি আরও বলেন, তেলের দাম কমতে হলে সরকারকে আগে মিলগেটের রেট নির্ধারিত করতে হবে। রেট নির্ধারিত হলেই বাজার দর ঠিক হবে। তা নাহলে বর্তমান যে অবস্থা আছে তার থেকে মূল্য আরো বাড়তে পারে।

রুপচাদা খুলনার সরবরাহকারী জানান, তারা বর্তমান দরের তেল বিক্রি করছেন। আগামী শনিবার থেকে নতুন তেলের দাম কার্যকর হবে।

রহমত স্টোরে কথা হয় গৃহিণী মমতাজ বেগমের সাথে। তার মাসে ৫ লিটার তেলের প্রয়োজন হয় বর্তমান দরের সাথে মিল না থাকায় আড়াই লিটার তেল ক্রয় করেছেন। বাকিটা পরে ক্রয় করবেন।

খুলনার বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার বলেন, বাজারে এখন চাল তেল আর চিনি বর্ধিত দামেই বিক্রি হচ্ছে। যা জেলা প্রশাসকসহ ও মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরকার নির্ধারিত দরে তেল বিক্রির বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আরবিসি/১৯ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category