• মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে রোগী সেজে চিকিৎসককে ফাঁদে ফেলে ২০ লাখ টাকা দাবি

Reporter Name / ৩৬০ Time View
Update : শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : মাথা ঘুরার কথা বলে বাসায় ডেকে চিকিৎসককে ফাঁদে ফেলে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। যে ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করে।

এছাড়াও ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ফাঁকা কাবিন নামার বিবাহ রেজিস্ট্রি খাতায় স্বাক্ষার নেয়া হয় বলে মাহবুব আলম নামের ওই চিকিৎসক থানায় অভিযোগ করেছেন। নগরের চন্দ্রিমা থানায় এই অভিযোগ দায়ের পর পাপিয়া সুলতানা পলি (৩০) নামের ওই নারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব আলম চন্দ্রিমা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি রাজশাহীর বেসরকারি বারিন্দ মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেছে। পড়াশোনা সময় পলি সাথে যোগাযোগ হয় পাশের ভাড়াটিয়া সূত্রে। সেই সুবাদে তার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন মাহবুব। এতে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এর সূত্র ধরে মাঝে মধ্যে ফোনে চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ নিতেন অভিযুক্ত পলি। ঘটনার দিন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পলি ফোন করে মাহবুবকে জানান তার প্রচুর মাথা ব্যথা করছে। তাই বাইরে বের হয়ে ওষুধ কেনা তার পক্ষে সম্ভব না। এতে করে ওষুধ কিনে আনতে বলে মাহবুবকে।

পরে মাহবুব ওষুধ ও ডাব কিনে নিয়ে আসে পলির বাসায়। এর কিছুক্ষন পরে অজ্ঞতনামা ৫ থেকে ৬ জন রুমের ভেতরে প্রবেশ করে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পলির লোকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা মৃত্যুর ভয় দেখায়। এছাড়া ১০০ টাকা মূল্যে তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পসহ কথিত কাজী একটি ফাঁকা কাবিন নামা বইয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়।

চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনির বলেন, মামলার পরে অভিযান চালিয়ে পাপিয়া সুলতানা পলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়। তার সহযোগিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

আরবিসি/১৯ ফেব্রুয়ারী/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category