• রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

‘বিএনপির অপরাজনীতিতে গণতন্ত্রের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’

Reporter Name / ১০৩ Time View
Update : বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক ও অপরাজনীতিতে দেশের চলমান উন্নয়ন ধারাই শুধু বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিকাশ ধারাও৷

জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে গণতন্ত্র হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা এখনও সেই ধারাবাহিকতাই চর্চা করে চলেছে৷

আজ বুধবার সকালে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নবনির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ ওবায়দুল কাদের তার সরকারী বাস ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনা সভায় যুক্ত হন৷

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ আশা করেছিল, নির্বাচন ও আন্দোলনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তোষণ ও পোষণ করা ত্যাগ করবে, কিন্তু তারা তা না করে উল্টো গাঁটছড়া বেঁধে আছে।

স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে সখ্য রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের সঙ্গে রসিকতা আর তামাশা ছাড়া কিছু নয়।

বিএনপির আন্দোলন, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন মানেই হচ্ছে সহিংসতা আর সন্ত্রাস উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ তাদের কর্মসূচিতে এখন ভীত সন্ত্রস্ত। বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও বাস পোড়ানোর ভয়ে বন্ধ করে দেয়৷ অথচ বিএনপি দায় চাপায় সরকারের ওপর। আন্দোলন এবং নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি এখন পুলিশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, দেশের জনগণই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বানিয়েছে আর শেখ হাসিনাকে করেছে বিশ্বের সেরা তিন রাষ্ট্রপ্রধানের একজন।

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তা সত্য নয়। আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি, এমনকি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী কোনো সভায়ও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়ার পরও স্থানীয়ভাবে তাদের দল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।

নিজ দলের উপকমিটিতে নাম লিখিয়ে কেউ চাঁদাবাজি অথবা ক্ষমতার দাপট দেখালে সঙ্গে সঙ্গে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপাসহ অনেকে।

আরবিসি/০৩ মার্চ/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category