নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদি মহাজনের চাপে বিক্রির ২ দিন পর শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন উপজেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে ইউএনও কার্যালয়ে শিশুটিকে মায়ের কোলে তুলে দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ।
শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়ার পাশাপশি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক শিশুটির মা ফুলজান বেগম ও বাবা রেজাউল করিমকে নগদ অর্থ, ফলমুল ও খাবার দেয়া হয় এবং স্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য একটি ভ্যানগাড়ী, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে জমিসহ একটি ঘর এবং চলমান ঋণ পরিশোধের জন্য নগর ইউপি চেয়ারম্যান ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
একই সাথে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম। এসময় বড়াইগ্রামের ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম, নগর ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত সোমবার সুদি মহাজনের চাপে বাধ্য হয়ে উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন গ্রামে ভ্যানচালক রেজাউল করিম তার ২২ দিন বয়সী কন্যা শিশু চাঁদনী আক্তার লিজাকে এক লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে রাতেই ভুক্তভোগির বাড়িতে গিয়ে অনুসন্ধানে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করেন ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম। পরে বিক্রিত শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
শিশুকে ফিরে পেয়ে মা ফুলজান বেগম অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন, একমাত্র কণ্যা শিশুকে ফিরে পেয়ে যে খুশি লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এজন্য ডিসি, ইউএনও এবং সাংবাদিকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ ও ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক তাই সাধ্যের সবটুকু সহায়তা করা হয়েছে।
আরবিসি/০৩ মার্চ/ রোজি