• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শীর্ষ সংবাদ
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে উত্তাল রাবি ক্যাম্পাস, রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ রাজশাহী জেলা আ’লীগের সভাপতিকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বাগমারা উপজেলার আ’লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে দুর্বৃত্তদের হামলা ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের নতুন আহবায়ক আব্দুল্লাহ ইকবাল, শাহাদাৎ হোসেন মুন্নার অভিনন্দন প্যারাগুয়ের জালে ৪ গোলে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল ব্রাজিল, জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিউস আজ রাজধানীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমাবেশ খুনোখুনি বেড়েছে আওয়ামী লীগে রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজের অভিযোগে মালিকসহ আটক ১৭ রাজশাহী-৬ আসনের এমপি’র কুশপুত্তলিকা জ্বালিয়ে শাহরিয়ার আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল আ’লীগ রাজশাহীর পবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পপির রকেটের গতিতে বয়স বৃদ্ধির তদন্ত করল কমিটি রাজশাহীর বাঘায় নিহত নেতা বাবুলের জানাজা থেকে বের করে দেওয়া হলো জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনীল কুমার সরকারকে

শিশুর স্বীকারোক্তির সাক্ষ্য মূল্য নেই

Reporter Name / ৭৯ Time View
Update : শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো (আসামি) শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির আইনগত কোনো সাক্ষ্য মূল্য নেই বলে হাইকোর্ট এক রায়ে উল্লেখ করেছেন। আদালত বলেছেন, অপরাধ স্বীকার করে শিশুর দেওয়া জবানবন্দির (স্বীকারোক্তি) ভিত্তিতে তাকে দোষী প্রমাণ করা যাবে না।

‘মো. আনিস মিয়া বনাম রাষ্ট্র’ নামে এক মামলায় হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ থেকে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দস ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট ওই রায় দেন। সম্প্রতি ৬৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়েছে।

রায়ে বলা হয়, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুর বিচারের এখতিয়ার শিশু আদালতের। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল কোনোভাবে শিশু আদালতের এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে না। অপরাধ যাই থাকুক না কেন শিশুদের ক্ষেত্রে দশ বছরের বেশি আটকাদেশ দেওয়া যাবে না।
বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের শিশু আইন অনুসারে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সবাই শিশু হিসেবে গণ্য হবে।

আইনজীবী সূত্র জানায়, একটি হত্যা মামলায় ২০১১ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এবং শিশু আদালতের রায়ে এক শিশুর দশ বছরের কারাদণ্ড হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও ১৯৭৪ সালের শিশু আইনে ওই সাজা দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে শিশুটির পক্ষে হাইকোর্ট আপিল করা হয়। এ মামলায় অন্য কয়েকজন আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়। তাদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও শিশুটির আপিল হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া ওই শিশুর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়। এই জবানবন্দি গ্রহণের যৌক্তিকতা ও শিশু আদালতের এখতিয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ আইনগত প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করার জন্য বিষয়টি তখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি ওই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন। তিন সদস্যের বেঞ্চের রায়ে আনিসের সাজা বাতিল ঘোষণা করা হয়।
আদালতে আপিলকারী মো. আনিস মিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মো. আবু হানিফ। অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি ব্যাখ্যাকারী) হিসেবে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এম আই ফারুকী ও শাহদীন মালিক।

আপিল শুনানির সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের লিখিত বক্তব্য আদালতে তুলে ধরেছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পেয়েছেন। রায় অনুযায়ী শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কোনো সাক্ষ্য মূল নেই। স্নায়ুবিদ ও মনোবিজ্ঞানীদের মতে ১৮ বছরের নিচে কোনো শিশুর শারীরিক ও মানসিক গঠন পর্যাপ্ত হয় না। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ওই হত্যা মামলায় আনিসকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। ট্রাইব্যুনাল স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিশু আদালত হিসেবে সাজা প্রদান করেন, যা আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরবিসি/০৫ মার্চ/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category