• মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন

ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ

Reporter Name / ৯৬ Time View
Update : সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন ইট ভাটাঁয় সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দিনরাত কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ইটভাটা মালিকরা বলছেন, বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে চাঁদাসহ প্রশাসন ও তথাকথিত এক শ্রেণির সাংবাদিকদের সঙ্গে লেনদেন ও যোগাযোগ করেই তারা এসব ভাটা চালাচ্ছেন। এছাড়াও কৃষি জমিতে গড়ে ওঠা ভাটা মালিকরা প্রশাসন ও মিডিয়া কর্মীদের ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এ ব্যবসা।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ভাটার আজাদ, জামাল, সালাম, হাবিবুর, মকবুল, জাফর, মোহন, জেকের, হকসহ শতাধিক ব্যাক্তি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই লোকালয় ও আবাদি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। সেইসাথে ভাটার শত শত বালু, পুকুর খননের মাটি ও ইট বহনকারী গাড়ি চলাচলে নষ্ট হচ্ছে মেইন রাস্তাসহ গ্রামের রাস্তা-ঘাট।

খোজ নিয়ে জানা গেছে লোক দেখাতে ভাটায় কয়লার স্তুপ সামনে রেখে পেছন থেকে পোড়ানো হয় কাঠ। ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য লাইন্সে লাগে ও ১২০ ফুট কংক্রিটের স্থায়ী চিমনি স্থাপন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং বিএসটিআই-এর লাইসেন্স সংগ্রহের সংবিধান থাকলেও রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শতাধিক ইট ভাটার মালিকরা এসবের কিছুই তোয়াক্কা না করে কৃষি জমি মালিকদের টাকা দিয়ে জিম্মি করে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে ইট শতাধিক ভাটা এবং পাশাপাশি ফসলী জমির মাটির উর্বরতা শক্তি একবারে নষ্ট করে দিচ্ছে।

এসব ইট ভাটায় ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রন) আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তিন কিমির মধ্যে ভাটা স্থাপন এবং ইট পোড়ানোর ক্ষেত্রে ভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। তাছাড়া ইট পোড়ানোর জন্য ড্রাম সিট চিমনি ৭৫ হাজার টাকা, কংক্রিটের তৈরি ১২০ ফুট চিমনির জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়।

কিন্তু বাগমারা ইট ভাটা মালিকরা ওই সকল টাকা পরিশোধ না করে জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের বেশ কিছু কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রতি বছর সরকারী কর ফাঁকি দিয়ে তাদের ভাটা ব্যবসা জোর তালে চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইট ভাটার কালো ধোয়ার কারনে জমির ফসল, ফলদ বাগান নষ্টসহ মানব দেহের হাপানি, কাশি, চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি বিস্তার লাভ হচ্ছে।
কয়েকজন ভাটা মালিক জানান, কয়লার সঙ্গে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে হয়।

কাঠ ব্যবহার না করলে আগুন ভালোভাবে জ্বলে না। প্রশাসনের কেউ এসে কখনও খোঁজ নেয় না বলেই কাঠ পোড়ানো সম্ভব হচ্ছে। তবে প্রশাসন থেকে এসে না করলে তারা ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার করবেন না। তবে এসকল ভাটা অচিরে বদ্ধর জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা চেয়েছেন এলাকার সুধি মহল।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ জানান, এর আগেই ড্রামচিমনীর ভাটায় কাঠ পোড়ানোর জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। তারা ওইসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ না করলে আবারো আইনেী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরবিসি/৮ মার্চ/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category