• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শীর্ষ সংবাদ
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে উত্তাল রাবি ক্যাম্পাস, রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ রাজশাহী জেলা আ’লীগের সভাপতিকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বাগমারা উপজেলার আ’লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে দুর্বৃত্তদের হামলা ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের নতুন আহবায়ক আব্দুল্লাহ ইকবাল, শাহাদাৎ হোসেন মুন্নার অভিনন্দন প্যারাগুয়ের জালে ৪ গোলে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল ব্রাজিল, জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিউস আজ রাজধানীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমাবেশ খুনোখুনি বেড়েছে আওয়ামী লীগে রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজের অভিযোগে মালিকসহ আটক ১৭ রাজশাহী-৬ আসনের এমপি’র কুশপুত্তলিকা জ্বালিয়ে শাহরিয়ার আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল আ’লীগ রাজশাহীর পবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পপির রকেটের গতিতে বয়স বৃদ্ধির তদন্ত করল কমিটি রাজশাহীর বাঘায় নিহত নেতা বাবুলের জানাজা থেকে বের করে দেওয়া হলো জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনীল কুমার সরকারকে

বিয়ের দিন কনেকে ফেলে প্রেমিকার সঙ্গে পালাল যুবক, অতঃপর…

Reporter Name / ৮৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। প্রেম একজনের সঙ্গে। আবার বিয়ে ঠিক হয়েছিল অন্য এক যুবতীর সঙ্গে। বিয়ের জন্য নগদ দুই লাখ টাকা ও মোটরবাইক পণও নিয়েছিলেন। পেশায় আবার যিনি রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড।

সেই যুবক বিয়ের দিন ঘটালেন আজব কাণ্ড। কনেকে ছেড়ে পুরনো প্রেমিকাকে নিয়েই পালালেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে ওই যুবতীকে বাঁচিয়ে দেন এক সিভিক পুলিশ।
লোকলজ্জার হাত থেকে যুবতীকে রক্ষা করে এলাকার প্রশংসা কুড়িয়েছেন ওই সিভিক পুলিশ। তবে এই উদ্যোগের নেপথ্যে কুমারগ্রাম থানার অফিসার বাসুদেব সরকার। তিনি যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, তাতে খুশি ও কৃতজ্ঞ স্থানীয়রা।

জানা গেছে, কুমারগ্রাম থানার দুর্গাবাড়ি এলাকার রাসু দাসের মেয়ে পাপিয়ার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের পাঁচকোলগুড়ি এলাকার মিন্টু বর্মন নামে এক যুবকের। পেশায় হোমগার্ড মিন্টুর বিয়ের পণ বাবদ নগদ দুই লাখ টাকা, মোটরবাইকসহ সোনার গয়নার দাবি ছিল। সোমবার রাতে ছিল বিয়ে।

কথা অনুযায়ী, টাকা এবং মোটরবাইক বিয়ের আগেই নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিপত্তি ঘটল বিয়ের দিন সন্ধ্যায়। প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান মিন্টু। রাসুবাবুর বাড়িতে এ খবর পৌঁছতেই তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কান্নায় ভেঙে পড়েন কনে। কুমারগ্রাম থানার অফিসার বাসুদেব সরকারের দ্বারস্থ হয় পরিবার। এরপরেই পাপিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়ে ওঠেন ওই পুলিশ কর্তা।

সোমবার রাতে কুমারগ্রাম থানায় কর্মরত ধীরেশ রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে বিয়েতে রাজি করান তিনি। থানায় ডেকে আনেন তার বাড়ির লোকেদের। দুই পক্ষকে বসিয়ে আলোচনা হয়। তারা বিয়েতে রাজি হওয়ার পরই ধীরেশের সঙ্গে পাপিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করেন তিনি। ধুমধাম করেই বিয়ে হয়। সেদিন রাতেই মিন্টু বর্মনকে দেওয়া পণের ২ লাখ টাকা ও মোটরবাইক উদ্ধার করে আনে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ। নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ের যাবতীয় ব্যবস্থা করে নব দম্পতিকে আশীর্বাদও করেন বাসুদেব বাবু।

পাপিয়ার বাবা রাসুবাবু বলেন, “আমার মেয়েকে যেভাবে কুমারগ্রামের বাসুদেব বাবু লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে বাঁচালেন, সে ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারব না।” বাসুদেব সরকারের কথায়, এমন বিপদে পড়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সামান্য সাহায্যটুকু করেছেন মাত্র। এটা তার কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

আরবিসি/১১ মার্চ/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category